লালবাতি গাড়িতে চলছিল মদ‍্যপান : ধরা পড়লো ভুয়ো ডিএসপি

9th September 2021 12:45 pm হুগলী
লালবাতি গাড়িতে চলছিল মদ‍্যপান : ধরা পড়লো ভুয়ো ডিএসপি


সুজিত গৌড় ( হুগলী ) :  গভীর রাতে লালবাতি গাড়িতে দুইজন সঙ্গীকে নিয়ে মদ্যপান করছেন এক পুলিশ অফিসার! কাছে যেতেই ভুল ভাঙল। ধরা পড়ল ভুয়ো পুলিশ অফিসার। এবার ভুয়ো ডিএসপি ধরা পরল চন্দননগরে, ধৃতের নাম সিদ্ধার্থ চক্রবর্তী বাড়ি চন্দননগর বক্সি গলিতে। গতকাল রাত ১১ টা ১৫ নাগাদ চন্দননগর স্ট্যান্ড রোডে রানীঘাটের কাছে একটি সাদা স্করপিও গাড়িকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে পুলিশ । গাড়িটির নম্বর WB 19J 7988 গাড়িটিতে লালবাতি ও হুটার লাগানো ছিল। সামনে গভঃ অফ ওয়েস্ট বেঙ্গল স্টিকার লাগানো ছিল। সন্দেহ হয় পুলিশের। রানী ঘাট থাকে ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে চন্দননগর থানা।পুলিশ গিয়ে গাড়িটিকে আটক করে। গাড়ির মধ্যে পুলিশের পোশাক পড়া একজনকে বসে থাকতে দেখা যায়। জিজ্ঞাসা করলে সে নিজেকে ডিএসপি পরিচয় দেয়। সোল্ডারে তিনটে তারা পুলিশের পোষাক বুকে নেমপ্লেট হুবুহু পুলিশ অফিসার দেখলেই মনে হবে।দেখে বোঝার উপায় নেই। কথা বলতেই মুখে মদের গন্ধ পেয়ে সন্দেহ বাড়ে।একজন ডিএসপি এত রাতে স্ট্যান্ডে মদ্যপান করছেন দেখে সন্দেহ বাড়ে ,তার সঙ্গে আরো দুজন ছিল। থানায় নিয়ে গিয়ে জেরা করতেই বেরিয়ে আসে আসল সত্য। চন্দনগর পুলিশ জানিয়েছে, চন্দননগর বক্সি গলির বাসিন্দা বছর ত্রিশের সিদ্ধার্থ চক্রবর্তী আগে মেডিকেল রিপ্রেজেনটেটিভ এর কাজ করতেন। এক সময় গাড়িও চালিয়েছেন। সেই সুবাদে জেলা প্রশাসনের গাড়ি চালায় এমন কয়েকজনের সঙ্গে আলাপও রয়েছে।বর্তমানে কিছুই করেন না।ডিএসপি সেজে ঘুরে বেড়ান।চন্দননগর পুলিশ তার বিরুদ্ধে সুয়ো মোটো মামলা রুজু করেছে।আজ তাকে চন্দননগর আদালতে তোলা হবে। ভুয়ো ভ্যাকসিন কান্ডে দেবাঞ্জন দেব গ্রেফতার হবার পর থেকেই একের পর এক ভুয়ো সিবিআই অফিসার,ভুয়ো আইনজীবী,ভুয়ো মানবাধিকার কর্মি গ্রেফতার হয়।এবার হুগলীতে ধরা পড়ল ভুয়ো পুলিশ অফিসার। দুইজন সঙ্গীকে নিয়ে মদ্যপান করছেন এক পুলিশ অফিসার!কাছে যেতেই ভুল ভাঙল।ধরা পড়ল ভুয়ো পুলিশ অফিসার।

এবার ভুয়ো ডিএসপি ধরা পরল চন্দননগরে, ধৃতের নাম সিদ্ধার্থ চক্রবর্তী বাড়ি চন্দননগর বক্সি গলিতে।
গতকাল রাত ১১ টা ১৫ নাগাদ চন্দননগর স্ট্যান্ড রোডে রানীঘাটের কাছে একটি সাদা স্করপিও গাড়ি কে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে পুলিশ।গাড়িটির নম্বর WB 19J 7988 গাড়িটিতে লালবাতি ও হুটার লাগানো ছিল।সামনে গভঃ অফ ওয়েস্ট বেঙ্গল স্টিকার লাগানো ছিল।সন্দেহ হয় পুলিশের।রানী ঘাট থাকে ঢিল ছোঁড়া দূরত্বে চন্দননগর থানা।পুলিশ গিয়ে গাড়িটিকে আটক করে।গাড়ির মধ্যে পুলিশের পোশাক পড়া একজনকে বসে থাকতে দেখা যায়।জিজ্ঞাসা করলে সে নিজেকে ডিএসপি পরিচয় দেয়।সোল্ডারে তিনটে তারা পুলিশের পোষাক বুকে নেমপ্লেট হুবুহু পুলিশ অফিসার।দেখে বোঝার উপায় নেই।কথা বলতেই মুখে মদের গন্ধ পেয়ে সন্দেহ বাড়ে।একজন ডিএসপি এত রাতে স্ট্যান্ডে মদ্যপান করছেন,তার সঙ্গে আরো দুজন ছিল।থানায় নিয়ে গিয়ে জেরা করতেই বেরিয়ে আসে আসল সত্য।
চন্দনগর পুলিশ জানিয়েছে,
চন্দননগর বক্সি গলির বাসিন্দা বছর ত্রিশের সিদ্ধার্থ চক্রবর্তী আগে মেডিকেল রিপ্রেজেনটেটিভ এর কাজ করতেন।এক সময় গাড়িও চালিয়েছেন।সেই সুবাদে জেলা প্রশাসনের গাড়ি চালায় এমন কয়েকজনের সঙ্গে আলাপও রয়েছে।বর্তমানে কিছুই করেন না।ডিএসপি সেজে ঘুরে বেড়ান।চন্দননগর পুলিশ তার বিরুদ্ধে সুয়ো মোটো মামলা রুজু করেছে।আজ তাকে চন্দননগর আদালতে তোলা হবে।
ভুয়ো ভ্যাকসিন কান্ডে দেবাঞ্জন দেব গ্রেফতার হবার পর থেকেই একের পর এক ভুয়ো সিবিআই অফিসার,ভুয়ো আইনজীবী,ভুয়ো মানবাধিকার কর্মি গ্রেফতার হয়।এবার হুগলিতে ধরা পড়ল ভুয়ো পুলিশ অফিসার।





Others News

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে


সুজিত গৌড় ( হুগলী ) :  নিম্ন চাপের জেরে শনিবার থেকে অকাল বৃষ্টিতে মাথায় হাত চাষীদের।
জেলায় আলু চাষে ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়ে যাবে কয়েক লক্ষ টাকার উপর বলে দাবি চাষীদের। ধান জমিতে যেমন ক্ষতির পাশাপাশি হুগলী জেলা জুড়ে ব্যাপক ক্ষতি এবার আলু চাষে। চলতি বছরে বার বার নিম্নচাপ  চাপের জেরে যেভাবে ধান চাষ পিছিয়ে ছিল ঠিক আলু চাষও পিছিয়ে ছিল প্রায় পনোর দিন। তবে গত শুক্রবার পযন্ত হুগলী জেলায় প্রায় ৩০ শতাংশ জমিতে বসানো হয়ে গিয়েছিল আলু এবং ৬০ শতাংশ জমি আলু চাষ উপযোগী করে তুলে ছিলেন চাষীরা। ধান চাষের মত আলু চাষের শুরুতে এবার কাল হয়ে উঠলো অকাল বৃষ্টি। অকাল বৃষ্টির ফলে যে সব জমিতে ইতি মধ্যেই আলু বসানো হয়ে গিয়েছিল, সেই সব জমিতে জল জমে থৈ থৈ করছে। ফলে জমিতে বসানো সমস্ত আলু বীজ পচে নষ্ট হতে বসেছে।  কারণ আলু বসানোর পর অন্তত পনেরো থেকে কুড়ি দিন কোনো জলের প্রয়োজন পরে না আলু চাষের ক্ষত্রে।
এ বছর এক বিঘা জমিতে চাষ উপযোগী করে আলু বসানো পযন্ত চাষীদের খরচ পড়েছে প্রায় পনেরো হাজার টাকা অন্যদিকে আলু বসানোর আগে পর্যন্ত  এক বিঘা জমিকে  চাষ উপযোগী করে তুলতে খরচ পড়েছে প্রায় সাত হাজার টাকা। অর্থাৎ ইতি মধ্যে নিম্ন চাপের জেরে অকাল বর্ষণে হুগলী জেলার ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়েছে লক্ষ  লক্ষ টাকার উপর। জেলায় আলু চাষের জমির পরিমান ৯০ হাজার হেক্টর জমি। সেমবার সকাল থেকেই  আলু জমি থেকে জল বের করে আলু বীজ বাঁচানোর মরিয়া চেষ্টা করছেন চাষীরা। চাষীদের দাবি অকাল বর্ষণে একেবারে সর্বস্বান্ত  হয়ে পড়েছে। আবার নতুন করে আলু বসানো বা জমি তৈরি করে আবার আলু বসানো অনেকের পক্ষেই আর সম্ভব হবে না।
অন্যদিকে আবহাওয়া উপযোগী হলে পুনরায় জমি আলু চাষের উপযোগী করে আলু বসাতে সময় লাগতে পারে পনেরো থেকে কুড়ি দিন। ফলে আলু চাষে ফলন যেমন কমবে খাবার আলুর জোগানেও পড়বে টান। আগামী দিনে ধানের ক্ষতির ফলে যেমন  চালের যোগান টান পড়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।  ঠিক তেমনি আগামী দিনে খাবার আলুর জোগানেও টান পড়বে বলে মত চাষীদের।